নরসিংদীর রায়পুরায় মরিয়ম আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, হত্যার পর অভিযুক্ত রাসেল তার স্ত্রীর লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গ্রামের পাশে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।তার গতিবিধি প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নদী থেকে লাশ উদ্ধার
করে নরসিংদী সদর হাসপাতার মর্গে প্রেরণ করে। নিহত মরিয়ম আক্তার উপজেলার চরআড়ালিয়া গ্রামের মো. শাহ আলমের মেয়ে। স্বামী রাসেল একই গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে। বুধবার বিকালে (৩ জুলাই) রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের চরআড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আটক অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় নিহত মরিয়মের বাবা মো. শাহ আলম বাদী হয়ে বুধবার রাতেই রায়পুরা থানায় অভিযুক্ত রাসেলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, গত তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে চরআড়ালিয়া গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে
রাসেলের সাথে একই গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই একই গ্রামের অন্য একটি মেয়ের সাথে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল আরো জানায় সে তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার প্রেমিকা তাকে সাফ জানিয়ে দেয়- বিয়ে করতে হলে স্ত্রীকে হয় ডিভোর্স না হয় হত্যা করতে হবে। এরই জের ধরে স্ত্রীকে গলায় গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ
নদীতে ফেলে দেয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার চরআড়ালিয়ার মেঘনা নদী থেকে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে। রায়পুরা থানার পুলিশ পরির্দশক মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানা মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।